Add Your Story/Social Story
Publish News, Views, Consciences, Etc.

বেঁধে দেয়া দামে আলু বিক্রি করছে না ব্যবসায়ীরা; শিগগিরই কমছে না দাম। Potato Market
View Full Story

যশোরে দুই যুবককে একসাথে কুপিয়ে হত্যা, মামলা হয়নি এখনও | Jessore Double Murder
View Full Story
Youtube to MP3 & MP4 Online Converter
View Full Story

Moderators press Trump, Biden at dueling town halls
View Full Story

ভিয়েতনামে বন্যা ও ভূমিধসে ১৩ জনের মৃত্যু, কাদা মাটির নীচে আটকা অনেকে। Vietnam Landslide
View Full Story
Portraying All of your social stories from facebook, youtube, instagram, etc.
[*Select Category/Tag:
Social Story
at Your Next Publish Screen.]
Add Your Social Story


দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবারের মতো অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা মেমোরিয়াল সাউথ এশিয়ান ক্লাব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০১৮ শুরু হচ্ছে চট্টগ্রামে।
শনিবার (০৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম এটির উদ্বোধন করবেন সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোরশেদ খান।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চ্যাম্পিয়নশিপের এ টুর্নামেন্টে দক্ষিণ এশিয়ার ৬টি দল অংশ নেবে। দলগুলো হলো বাংলাদেশের পাললিক গ্রুপ, ভারতের বেঙ্গল ক্লাব, ভুটানের টিম্পু টিটি ক্লাব, নেপালের হুয়াই টিটি ক্লাব ও শ্রীলংকার সাউদার্ন টিটি ক্লাব।
তবে সাউথ এশিয়ার অন্যতম দেশ পাকিস্তানের লিগ চ্যাম্পিয়ন করাচি জিমখানা ক্লাবের দুইজন খেলোয়াড় কমনওয়েলথ গেমসে যাওয়ায় তারা অংশ নিচ্ছে না।
এ চ্যাম্পিয়নশিপের খেলাগুলো রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। মোট ম্যাচ ১৫টি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মুনির হাসান, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ফাতেমা বেগম, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, ভারতীয় দলের ম্যানেজার সুব্রত রায়, টেবিল টেনিস ফেডারেশনের মিডিয়া কমিটির সদস্যসচিব আহসান আহমেদ অমিত, সিজেকেএস টেবিল টেনিস কমিটির সম্পাদক ও চ্যাম্পিয়নশিপের আহ্বায়ক মো. মোরশেদুল আলম এবং অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সেক্রেটারি মো. আজম চৌধুরী।
স্পনসর হিসেবে রয়েছে কারিকা, আইসক্রিম পার্টনার ইগলু, বেভারেজ পার্টনার প্রাণ ফ্রুটো, ট্র্যাভেল পার্টনার- রিজেন্সি এয়ারওয়েজ, হেলথ পার্টনার ন্যাশনাল হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড, ইভেন্ট পার্টনার চিটাগং ইভেন্টস্, ডিসাইন, ফিনলে প্রপার্টিজ, সিপিডিএল, বিএম এলপি গ্যাস, রবি, সাদার্ন ইউনিভার্সিটি, প্রাইম এসেট লিমিটেড এবং মার্ক।
মিডিয়া পার্টনার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম, জিটিভি, কালের কণ্ঠ, দি ডেইলি স্টার, রেডিও টুডে, দৈনিক পূর্বকোণ।

বাংলাদেশের মানুষ পরিবর্তন চায় মন্তব্য করে চট্টগ্রাম ৯ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেছেন, ‘দেশের মানুষ দুই নেত্রীকে চায়না। খালেদা, হাসিনাকে চায় না।’
শনিবার (০৭ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর লালদীঘি মাঠে জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ফ্রন্টের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে রয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
সম্মিলিত জাতীয় জোটের শীর্ষনেতা ও ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ পরির্তন চায়। ২৮ বছর ধরে দেশে হত্যা, খুন বেড়ে চলেছে। দেশে চলছে লুঠপাট। আজকের মহাসমাবেশের জনস্রোত প্রমাণ করে দেশের মানুষ সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ক্ষমতায় চান। আগামী নির্বাচনে লাঙ্গল-মোমবাতি মার্কায় জোটবদ্ধ হয়েছে। আমাদের ক্ষমতায় আসতে হবে। দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।’
সমাবেশে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিন, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সোলেমান আলম শেঠ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আজকের সম্পূর্ণা ২৪ রেসিপি আয়োজনে রয়েছে এক সাথে ২১টি আচার রেসিপি । সম্পূর্ণা ২৪ আপনাদের কে দেখাবে কি ভাবে তৈরি করবেন দারুন মজার এই রেসিপিটি । খুব সহজে এবং তাড়াতাড়ি এই পদটি তৈরি করা যায়। চলুন জেনে নিই, কী কী উপকরণ লাগবে এই রেসিপিতে এবং কীভাবে তৈরি করবেন এক সাথে ২১টি আচার রেসিপি
১। সাতকড়ার আচার
উপকরণ :
১. সাতকড়া ২-৩টি,
২. সিরকা(ভিনেগার) ২ কাপ,
৩. লবণ ৮ কাপ,
৪. সরিষার তেল ১ কাপ,
৫. রসুন বাটা আড়াই চা চামচ,
৬. সরিষা বাটা ২ টেবিল চামচ,
৭. মরিচ গুঁড়া ৩ চা চামচ,
৮. পাঁচফোড়ন গুঁড়া দেড় চা চামচ।
প্রণালি :
> সাতকড়া ভালোভাবে ধুয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিন। টুকরা করে কাটুন। একটি মাটির পাত্রে সাতকড়া টুকরো, লবণ ও সিরকা মিশিয়ে কড়া রোদে দিন তিন-চার দিন। একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করুন। তাতে রসুন বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন। রসুন একটু ভাজা হলে তাতে একে একে বাকি মসলাগুলো দিয়ে কষান। সিরকা থেকে শুধু সাতকড়ার টুকরোগুলো নিয়ে ওই তেলে ছাড়ুন। ভালো করে কষান। লবণ মেশান। সিরকা স্বাদ অনুযায়ী মেশান। তেল ওপরে ভেসে উঠলে নামিয়ে নিন।
২। ক্যাপসিকাম পিকল
উপকরণ :
১. ক্যাপসিকাম ৫টি,
২. মেথি পোয়া কাপ চামচ,
৩. সরিষা আধা চা চামচ,
৪. ২টি লেবুর রস,
৫. মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ,
৬. হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ,
৭. হিংগুঁড়া সামান্য,
৮. তেল ২ টেবিল চামচ ,
৯. লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি :
> ক্যাপসিকাম ছোট ছোট টুকরো করে বিচি ফেলে দিতে হবে। প্যানে তেল গরম করে সরিষা ও মেথি দিয়ে ভাজতে হবে। এরপর এতে হিং, মরিচ গুঁড়া ও হলুদ গুঁড়া দিতে হবে। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে এবার ক্যাপসিকামের টুকরো ও লবণ দিয়ে মিশ্রণটিকে ঢেকে দিতে হবে। নরম হয়ে এলে এতে লেবুর রস ঢেলে ভালোভাবে নাড়ূন। নামিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা হয়ে এলে জার বা বোতলে সংরক্ষণ করতে হবে।
৩। আমলকীর আচার
উপকরণ :
১. আমলকী বড় আধা কেজি,
২. সরিষার তেল দেড় কাপ,
৩. লবণ স্বাদমতো,
৪. চিনি ২ টেবিল চামচ,
৫. পাঁচফোড়ন ১ চা চামচ,
৬. জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ,
৭. ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ,
৮. শুকনা মরিচ বাটা ১ চা চামচ,
৯. হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ,
১০. পাঁচফোড়ন গুঁড়া ১ চা চামচ,
১১. সরিষা বাটা ১ চা চামচ।
প্রণালি :
> আমলকী ধুয়ে-মুছে নিতে হবে। তারপর আমলকীর চারপাশ চিরে নিতে হবে। হলুদ ও লবণ মাখিয়ে রোদে দিতে হবে। এরপর প্যানে তেল দিয়ে তাতে পাঁচফোড়ন দিতে হবে। আমলকী দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। এরপর লবণ, চিনি ও সব মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে দু’একদিন রোদে দিয়ে বয়ামে ভরে রাখতে হবে।
৪। কামরাঙ্গার কারি আচার
উপকরণ :
১. কামরাঙ্গা ৮টি,
২. পিঁয়াজ ঝুড়ি কাটা ১ কাপ,
৩. আদা বাটা ১ টে. চামচ,
৪. রসুন বাটা ১ টে. চামচ,
৫. লবণ ২ টে. চামচ,
৬. পাঁচফোড়ন ১/৩ কাপ,
৭. সিরকা(ভিনেগার) ১/৪ কাপ,
৮. সাইট্রিক এসিড ১/২ চা চামচ,
৯. আচার মসলা ১ টেবিল চামচ,
১০. হলুদ গুঁড়া ১/২ চা চামচ।
প্রণালি :
> পাত্রে তেল দিয়ে পাঁচফোড়ন ও বাটা মসলা সিরকা দিয়ে কষিয়ে নিন। ৫ মিনিট পর কাটা কামরাঙ্গা দিয়ে প্রথমে তীব্র আঁচে ৫-৬ মিনিট পরে মৃদু আঁচে ৩০ মিনিট রান্না করে বয়ামজাত করতে হবে।
৫। গোটা জলপাইয়ের ঝাল আচার
উপকরণ :
১. জলপাই ১ কেজি,
২. সরিষার তেল ৫০০ গ্রাম,
৩. কাঁচা মরিচ ২০টি,
৪. রসুন ২টি,
৫. আদা ১৫০ গ্রাম,
৬. হলুদ গুড়া ১চা চামচ,
৭. সরিষা দানা ২চা চামচ,
৮. ভিনেগার ১ বোতল,
৯. লবণ ২ টেবিল চামচ,
১০. পাঁচফোড়ন ২ টেবিল চামচ,
১১. মৌরি ২চা চামচ,
১২. কালোজিরা ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি :
> জলপাই, কাঁচামরিচ, রসুন, আদা ও সরিষা দানা ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। জলপাইয়ের চারপাশে চির কেটে লবণ ও হলুদ মেখে রোদে শুকিয়ে নিন।
> আদা, রসুন, সরিষা ও কাঁচামরিচ ভিনেগার ব্লেন্ডারে পেস্ট তৈরি করুন। কালোজিরা, মৌরি, ও পাঁচফোড়ন শিলপাটায় হালকা গুড়া করে নিন।
সবশেষে বড় কাঁচের বোতলে সব মশলা একত্রে মিশিয়ে নিন।
> এরপর জলপাই ও তেল দিয়ে বোতলের মুখ লাগিয়ে দিন। পর পর কয়েকদিন আচার রোদে দিলে তা খাওয়ার উপযোগী হবে।
৬। চালতার আচার
উপকরণ :
১. চালতা দেড়টি,
২. চিনি আধা কাপ,
৩. তেল আধা কেজি,
৪. গুড় দেড় কাপ,
৫. মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ,
৬. রসুন বাটা দেড় টেবিল চামচ,
৭. সরিষার তেল আন্দাজ মতো,
৮. সরিষা বাটা দেড় টেবিল চামচ,
৯. রসুন কোয়া ১০/১২টি,
১০. তেজপাতা ২টি,
১১. শুকনা মরিচ ৪/৫টি,
১২. পাঁচফোড়ন ১ চা চামচ,
১৩. পাঁচফোড়ন গুঁড়া ১ টেবিল চামচ,
১৪. সিরকা(ভিনেগার) আধা কাপ।
প্রণালি :
> চালতা টুকরা করে গরম পানিতে খুব ভালো করে সিদ্ধ করে ছেচে নিতে হবে। এবার প্যানে তেল দিয়ে তাতে রসুন, শুকনা মরিচ, পাঁচফোড়ন, তেজপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে চালতা দিতে হবে। এবার গুড় দিয়ে নাড়তে হবে। তাতে মরিচ গুঁড়া, রসুন বাটা, সরিষা বাটা, পাঁচফোড়ন গুঁড়া দিয়ে নাড়তে হবে। চিনি দিতে হবে। নামানোর আগে সিরকা দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
৭। আমলকী, রসুন ও আদার আচার
উপকরণ :
১. আমলকী ৫০০ গ্রাম,
২. রসুন ৫০ গ্রাম,
৩. আদা কুচি ১ টেবিল চামচ,
৪. লবণ পরিমাণ মতো,
৫. চিনি ১ চা চামচ,
৬. জিরা ও ধনিয়া গুঁড়া ১ টেবিল চামচ,
৭. হলুদের গুঁড়া আধা চা চামচ,
৮. পাঁচফোড়ন গুঁড়া ১ চা চামচ,
৯. কালো জিরা আধা চা চামচ,
১০. সরিষার তেল ৫০ গ্রাম,
১১. শুকনা মরিচ বাটা ১ চা চামচ,
১২. এলাচ ও দারুচিনি গুঁড়া আধা চা চামচ,
১৩. সরিষা বাটা ১ চা চামচ।
প্রণালি :
> আমলকী পানি ঝরিয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে লম্বা চিকন করে কাটতে হবে। রসুনের খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। আদা ছিলে ধুয়ে ভালোভাবে মুছে নিয়ে কুচি করে কেটে নিতে হবে। চুলায় একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে তার মধ্যে কালো জিরা দিয়ে আমলকী, রসুন, আদা কুচি ও লবণ দিয়ে ভালো করে নেড়ে পুরো মসলা গুঁড়া ও চিনি দিয়ে ভালোভাবে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। এলাচ ও দারুচিনি গুঁড়া দিতে হবে। তেল আচারের ওপর উঠে গেলে বোঝা যাবে আচার হয়ে গেছে। তখন নামিয়ে একটু রোদে দিয়ে বোয়ামে সংরক্ষণ করতে হবে।
৮। আমলকী ও তেঁতুলের আচার
উপকরণ :
১. আমলকী ৫০০ গ্রাম,
২. তেঁতুল ৫০ গ্রাম,
৩. সরিষার তেল ৫০ গ্রাম,
৪. লবণ পরিমাণ মতো,
৫. চিনি ১ চা চামচ,
৬. জিরা ও ধনিয়া গুঁড়া ১ টেবিল চামচ,
৭. কালো জিরা আধা চা চামচ,
৮. শুকনা মরিচ বাটা ১ চা চামচ,
৯. পাঁচফোড়ন গুঁড়া ১ চা চামচ,
১০. সরিষা বাটা ১ চা চামচ।
প্রণালি :
> আমলকী ধুয়ে পানি ঝরিয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে একটু মোটা লম্বা করে কেটে নিতে হবে। তেঁতুল গুলিয়ে চালনি দিয়ে চেলে নিতে হবে। তার পর চুলায় একটি পাত্রে তেল দিয়ে তেল গরম করে তাতে কালো জিরা দিয়ে আমলকী ও তেঁতুলের কাথগুলো দিয়ে তার মধ্যে লবণ, চিনি ও পুরো মসলা গুঁড়া দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিতে হবে। যখন তেল আচারের ওপর উঠবে তখনই বোঝা যাবে আচার হয়ে গেছে। তার পর নামিয়ে একটু রোদে দিয়ে বয়ামে সংরক্ষণ করতে হবে।
৯। তেঁতুলের টক মিষ্টি আচার
উপকরণ :
১. তেঁতুল ২ কেজি,
২. আখের গুড় দেড় কেজি,
৩. হলুদ গুড়া ২ চা চামচ,
৪. মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ,
৫. পাঁচফোড়ন গুঁড়া ৩ টেবিল চামচ,
৬. সরিষার তেল ২ কাপ,
৭. লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি :
> তেঁতুলের ক্বাথ বের করে ছেকে নিন। এবার তাতে লবণ ও হলুদ মিশিয়ে ছড়ানো বড় পাত্রে ঢেলে কড়া রোদে পানি শুকিয়ে নিন। এবার এতে গুড় মেশান এবং আবার রোদে শুকাতে দিন। মরিচ গুঁড়া ও পাঁচফোড়ন গুঁড়া মেশান ধীরে ধীরে। প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ সরিষার তেল দিন ওই মিশ্রণে এবং রোদে শুকান। তেঁতুলের পানি শুকিয়ে আঠা হয়ে এলে পাত্রে তুলে সংরক্ষণ করুন।
১০। মাশরুমের আচার
উপকরণ:
১. মাশরুম ২৫০ গ্রাম,
২. পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ,
৩. রসুন বাটা ১ চা চামচ,
৪. আদা বাটা ২ চা চামচ,
৫. সরিষা বাটা ১ চা চামচ,
৬. শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া আধা চা চামচ,
৭. শুকনা মরিচ ৩টি,
৮. লবণ ২ চা চামচ,
৯. তেঁতুলের ক্বাথ ২ টেবিল চামচ,
১০. পাঁচফোড়ন ১ চা চামচ,
১১. আচার মসলা ২ চা চামচ,
১২. ভিনেগার সামান্য,
১৩. সরিষার তেল ১০০ মিলিলিটার,
১৪. চিনি আধা কাপ।
প্রণালি :
> মাশরুম টুকরো করে ধুয়ে ৮-১০ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
এরপর পানি থেকে তুলে কাপড়ে মুছে শুকিয়ে নিন।
কড়াইয়ে তেল গরম করে পাঁচফোড়ন দিন। পাঁচফোড়ন দিয়ে ফুটে উঠলে পেঁয়াজ কুচি, আদা, রসুন, সরিষা বাটা দিয়ে কষিয়ে মাশরুম দিন।
মাশরুম সিদ্ধ হলে ভিনেগার, তেঁতুল, চিনি ও বাকি মসলা দিয়ে ফুটিয়ে নিন।
ঠাণ্ডা হলে কাচের বোতলে ভরে সংরক্ষণ করুন।
১১। ক্যাপসিকাম ও কাঁচামরিচ
উপকরণ :
১. ক্যাপসিকাম ১ কাপ,
২. কাঁচামারিচ ৪-৫টা,
৩. আমসত্ত্ব কাটা ১/২ কাপ,
৪. চিনি ১/৪ কাপ,
৫. ভাজা মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ,
৬. কালোজিরা ১ চা চামচ,
৭. লবণ ১ চা চামচ,
৮. জলপাই/আম ১/২ কাপ,
৯. সরিষার তেল ১/২ কাপ,
১০. সরিষা বাটা ২ টে. চামচ,
১১. আদা-রসুন বাটা ২চা চামচ।
প্রণালি :
> তেল বাদে সব উপকরণ এক সাথে মাখিয়ে নিয়ে ১ ঘণ্টা রোদে দিন। এবার তেল চুলায় দিয়ে তেলের মধ্যে কষিয়ে নিন।
১২। জলপাইয়ের ঝাল আচার
উপকরণ :
১. জলপাই ১ কেজি,
২. আদা বাটা ১ টেবিল চামচ,
৩. লবণ স্বাদমতো,
৪. টালা লাল মরিচ ২ টেবিল চামচ,
৫. রসুন বাটা ১ চা চামচ,
৬. সরিষার তেল ১ কাপ,
৭. আচারের মসলা ১ চা চামচ,
৮. চিনি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি :
> জলপাই সিদ্ধ করে চটকে নিন।
কড়াইয়ে তেল গরম করে আধা চা চামচ পাঁচফোঁড়ন দিন। জলপাইসহ বাকি উপকরণ দিয়ে দিন।
ভাজা হয়ে তেল ওপরে উঠলে নামান।
১৩। আমড়ার ঝাল আচার
উপকরণ :
১. আমড়া ১ কেজি,
২. লবণ স্বাদমত,
৩. সরিষা বাটা ২ টেবিল চামচ,
৪. হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ,
৫. মরিচ গুঁড়া ২ চা-চামচ,
৬. চিনি ৪ টেবিল চামচ,
৭. রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ,
৮. পাঁচফোড়ন টালা গুঁড়া ১ চামচ,
৯. সিরকা(ভিনেগার) আধা কাপ,
১০. সরিষার তেল আধা কাপ।
প্রণালি :
> প্যানে তেল দিয়ে পাঁচফোড়নের ফোড়ন দিয়ে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে আমড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে পাঁচফোড়ন গুঁড়া দিয়ে নামাতে হবে। বৈয়ামে ভরে রোদে শুকাতে হবে।
১৪। জলপাইয়ের মিষ্টি আচার
উপকরণ :
১. জলপাই ১ কেজি,
২. লবণ স্বাদমতো,
৩. চিনি আধা কাপ,
৪. পাঁচফোঁড়ন ১ চা চামচ,
৫. কেএমএস এক চিমটি,
৬. টালা মরিচ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ,
৭. গুড় আধা কাপ,
৮. সিরকা আধা কাপ।
প্রণালি :
> জলপাই পিস করে কেটে ৪-৫ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
এবার সব উপকরণ দিয়ে চুলায় জ্বাল দিন।
পানি শুকিয়ে এলে পাঁচফোঁড়ন ছিটিয়ে দিয়ে নামান। ঝাল-টক ইচ্ছামতো বাড়ানো যাবে। নামানোর পর কেএমএস ছিটিয়ে মিশিয়ে দিন।
১৫। আনারস টক ঝাল মিষ্টি
উপকরণ :
১. আনারস ১টি,
২. গুড় ২০০ গ্রাম,
৩. মরিচ ভাজা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ,
৪. পাঁচফোড়ন ভাজা গুঁড়া ১ চামচ,
৫. জিরা ভাজা গুঁড়া ১ চা চামচ,
৬. সরিষার তেল সিকি কাপ,
৭. লবণ স্বাদমতো,
৮. সিরকা আধা কাপ,
৯. বিটলবণ আধা চা চামচ,
১০. সোডিয়াম বেনজয়েট সিকি চামচ,
১১. সিরকা ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি :
> আনারস লম্বা টুকরা করে কাটুন।
তেলে গুড় ও সিরকা মেশান।
মিশে গেলে আনারস দিন। এরপর লবণ ও বিটলবণ দিন।
ঘন হয়ে এলে ভাজা মসলা দিন।
এরপর নামিয়ে সোডিয়াম বেনজয়েট সিরকায় গুলিয়ে দিয়ে দিন।
ঠাণ্ডা হলে বয়ামে রেখে কয়েক দিন রোদে দিয়ে সংরক্ষণ করুন।
১৬। পাঁচমিশালি ফলের আচার
উপকরণ :
১. আমড়া, কামরাঙা, জলপাই ও আনারস আধা কাপ,
২. আমলকী সিকি কাপ,
৩. আপেল আধা কাপ,
৪. লবণ স্বাদমতো,
৫. সিরকা(ভিনেগার) ১ কাপ,
৬. সরিষার তেল ১ কাপ,
৭. চিনি আধা কাপ,
৮. মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ,
৯. আদা বাটা ১ টেবিল চামচ,
১০. রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ,
১১. জিরা বাটা ১ চা চামচ,
১২. সরিষা বাটা ১ চা চামচ,
১৩. পাঁচফোড়ন বাটা ১ চা চামচ,
১৪. পাঁচফোড়ন আস্ত ১ চা চামচ,
১৫. পাঁচফোড়ন, জিরা ও ধনে ভাজা গুঁড়া ১ চা চামচ,
১৬. সোডিয়াম বেনজয়েট সিকি চা চামচ।
প্রণালি :
> ফল ধুয়ে ছোট টুকরা করে লবণ দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন এক ঘণ্টা।
এরপর ভালো করে ধুয়ে এক দিন রোদে দিন।
কড়াইয়ে তেল গরম করে পাঁচফোড়ন দিয়ে সব বাটা মসলা, মরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে ফল দিন।
এবার সিরকা ও চিনি দিয়ে নাড়ুন।
তেলের ওপর আচার উঠে এলে সোডিয়াম বেনজয়েট সিরকায় গুলে দিন। ভাজা মসলা দিয়ে ঠাণ্ডা হলে কয়েক দিন রোদে দিন।
১৭। বিলম্বির কাশ্মীরি আচার
উপকরণ :
১. বিলম্বি ৫০০ গ্রাম,
২. চিনি ৫০০ গ্রাম,
৩. আদা কুচি ১ টেবিল চামচ,
৪. এলাচ ২-৩টি,
৫. দারুচিনি ৩ টুকরা,
৬. মৌরি আধা চামচ,
৭. সিরকা ১ কাপ,
৮. চুন আধা চামচ,
৯. লবণ স্বাদমতো,
১০. শুকনা মরিচ কুচি ৩টি,
১১. সোডিয়াম বেনজয়েট সিকি চামচ,
১২. সিরকা(ভিনেগার) ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি :
> বিলম্বি ধুয়ে কাঁটাচামচ দিয়ে কেচে চুনের পানিতে ভিজিয়ে রাখুন চার ঘণ্টা।
এরপর ধুয়ে এক দিন রোদে দিন।
কড়াইতে সিরকা ও চিনি দিয়ে জ্বাল দিন। এর মধ্যে এলাচ, দারুচিনি, মরিচ, আদা ও মৌরি দিয়ে ঘন সিরা বানান।
এরপর বিলম্বি দিয়ে জ্বাল দিন। ঘন হলে নামিয়ে সোডিয়াম বেনজয়েট গুলে দিন।
ঠাণ্ডা করে বয়ামে রাখুন।
১৮। ম্যাস্টা আচার
উপকরণ :
১. ম্যাস্টা (পাটের ফল) আধা কেজি,
২. চিনি ২০০ গ্রাম, সিরকা সিকি কাপ,
৩. সোডিয়াম বেনজয়েট সিকি চামচ,
৪. সিরকা ১ টেবিল চামচ,
৫. সরিষার তেল আধা কাপ,
৬. পাঁচফোড়ন আস্ত ১ চামচ,
৭. জিরা ভাজা গুঁড়া আধা চামচ,
৮. পাঁচফোড়ন ভাজা গুঁড়া আধা চামচ,
৯. ধনিয়া ভাজা গুঁড়া আধা চামচ,
১০. লবণ স্বাদমতো,
১১. বিটলবণ সিকি চামচ,
১২. মরিচ ভাজা গুঁড়া ১ চামচ।
প্রণালি :
> ম্যাস্টা ভালো করে ধুয়ে পাপড়ি খুলে নিন।
কড়াইয়ে তেল গরম করে পাঁচফোড়ন দিয়ে ম্যাস্টা ঢেলে দিন।
এরপর চিনি, সিরকা ও লবণ দিন।
ম্যাস্টা তেলের ওপর উঠে এলে ভাজা মসলা দিন।
নামিয়ে সোডিয়াম বেনজয়েট সিরকায় গুলে দিয়ে নাড়ুন।
ঠাণ্ডা হলে বয়ামে সংরক্ষণ করুন।
১৯। বরই আচার
উপকরণ :
১. শুকনা বরই ৪০০ গ্রাম,
২. লবণ পরিমাণমতো,
৩. লাল মরিচ গুঁড়া পরিমাণমতো,
৪. চিনি পরিমাণমতো,
৫. পানি পরিমাণমতো।
প্রণালি :
> শুকনা বরই ভালো করে ধুয়ে ৩/৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে করে বরইয়ের চামড়া পানিতে ভিজে বেশ নরম হয়ে যাবে। এবার চুলা জ্বালিয়ে একটা হাড়িতে দুই কাপ পানি দিয়ে তাতে বরইগুলো ঢেলে দিন। এবার পরিমানমতো লবণ ও লাল মরিচ গুঁড়া দিয়ে মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। বরইগুলো গলে গেলে এর মধ্যে পরিমাণমতো চিনি দিন। এরপর নাড়তে থাকুন। মাখা মাখা হয়ে আসলে বাটি বা কৌটায় ঢেলে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল মজাদার বরই আচার। এবার নিজের পছন্দমতো পরিবেশন করুন।
২০। পাঁচমিশালি সবজি আচার
উপকরণ :
১. শালগম আধা কাপ,
২. ফুলকপি আধা কাপ,
৩. বাঁধাকপি আধা কাপ,
৪. বরবটি-গাজর টুকরা আধা কাপ,
৫. কাঁচা টমেটো আধা কাপ,
৬. মটরশুঁটি আধা কাপ,
৭. জিরা বাটা ১ চামচ,
৮. হলুদ সামান্য,
৯. সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ,
১০. বিটলবণ আধা চা চামচ,
১১. জিরা-পাঁচফোড়ন-ধনে ভাজা গুঁড়া ১ চা চামচ,
১২. তেঁতুলের মাড় সিকি কাপ,
১৩. চিনি সিকি কাপ,
১৪. আদা বাটা ১ টেবিল চামচ,
১৫. রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ,
১৬. লবণ ১ চা চামচ,
১৭. সিরকা(ভিনেগার) আধা কাপ,
১৮. মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ,
১৯. আস্ত পাঁচফোড়ন ১ চা চামচ,
২০. পাঁচফোড়ন বাটা ১ চামচ,
২১. সরিষার তেল ৩০০ গ্রাম,
২২. সোডিয়াম বেনজয়েট আধা চা চামচ,
২৩. সিরকা ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি :
> সবজি ছোট টুকরা করে কেটে ভাপ দিয়ে পানি ঝরিয়ে এক দিন রোদে শুকান।
কড়াইয়ে তেল গরম করে পাঁচফোড়ন দিন।
এরপর একে একে সব বাটা মসলা, লবণ, হলুদ, মরিচ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে সবজি দিন।
একটু নেড়ে সিরকা ও চিনি দিন।
এবার তেঁতুলের মাড় দিয়ে ভালো করে কষান। আচার যখন তেলের ওপর উঠে আসবে, নামিয়ে সোডিয়াম বেনজয়েট ও সিরকা গুলে আচারে দিন।
ভাজা মসলার গুঁড়া দিন। ঠাণ্ডা হলে বয়ামে রেখে কয়েক দিন রোদে দিয়ে সংরক্ষণ করুন।
২১। কাঁচামরিচের আচার
উপকরণ :
১. কাঁচা মরিচ ৫০টি,
২. সরিষার তেল আধা কাপ,
৩. সিরকা আধা কাপ,
৪. রসুন বাটা ১ চা-চামচ,
৫. হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ,
৬. কাঁচা মারিচ বাটা ২ চা-চামচ,
৭. চিনি আধা কাপ,
৮. লবণ স্বাদমতো,
৯. মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ,
১০. পাঁচফোড়ন ১ চা-চামচ,
১১. তেঁতুল ১ টেবিল-চামচ।
প্রণালি :
> তেল গরম করে এতে সব মসলা দিয়ে কষিয়ে নিন। তেঁতুল, সিরকা, চিনি ও লবণ দিন। এরপর মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে নামিয়ে ফেলুন।
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য নিজেদের ঘোষিত ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে (কৌশল) বাংলাদেশকে পাশে চায় যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসে বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউজের সিনিয়র কর্মকর্তা লিজা কার্টিস আলোচনা করে গেছেন বাংলাদেশের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও কোনও মন্তব্য না করে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে সরকার।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, লিজা কার্টিস ঢাকায় মূল বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক। এছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দীকির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। তার প্রায় প্রতিটি বৈঠকে ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন লিজা কার্টিস।
একজন কর্মকর্তা বলেন, পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি বিষয়টি উত্থাপন করা হলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের এখনও এ বিষয়ে কোনও কনসেপ্ট নোট বা এই ধরনের লিখিত কিছু দেয়নি।
ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিকে চীনবিরোধী একটি উদ্যোগ কিনা, জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, এর মাধ্যমে মূলত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর কাছে যুক্তরাষ্ট্র কী প্রত্যাশা করে, তা বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় আকাশ বা সুমদ্রপথে পণ্য পরিবহনে অবাধ স্বাধীনতা ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী স্থলসীমান্ত বা সুমদ্রসীমা সংক্রান্ত সব বিরোধের নিষ্পত্তি। এছাড়া স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়ন করে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক যোগাযাগ বৃদ্ধিকে তারা উৎসাহিত করে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, এর প্রতিটি বিষয় কোনও না কোনোভাবে চীনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সাউথ চায়না সি নিয়ে চীন ও এর সঙ্গে লাগোয়া দেশগুলো বিবাদ আছে। চীন এই অঞ্চলে অনেক বৃহৎ প্রকল্প করছে এবং অভিযোগ আছে, এইসব প্রকল্প কাজ পাওয়ার জন্য অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়ে থাকে এবং চীনে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে মিল নেই পশ্চিমা গণতন্ত্রের।
আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় এশিয়া অঞ্চলের জন্য ‘এশিয়া রিব্যালান্সিং’ কৌশল ছিল কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে তিনি ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’ ঘোষণা করেন। দু’টির মধ্যে পার্থক্য কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওবামা চীনের সঙ্গে শত্রুভাবাপন্ন আচরণ করেননি কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করে দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফায়েজ আহমেদ বলেন, ‘অন্য কোনও রাষ্ট্রের বিরোধের সঙ্গে বাংলাদেশের জড়ানো ঠিক হবে না।’ তিনি বলেন, ‘একদিকে যেমন পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক আছে, তেমনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। বৃহৎ অনেক প্রকল্প সরাসরি চীনের সহায়তায় তৈরি হচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতিতে কোনও একটি রাষ্ট্রের পক্ষ নেওয়া হলে অন্যপক্ষ রুষ্ট হতে পারে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
একইমত পোষণ করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে চীনবিরোধী নীতিসহ আরও অনেক কমপোনেন্ট আছে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষে কোনও বিশেষ ক্যাম্পে যোগ দেওয়াটা যুক্তিসঙ্গত হবে না।’
এখানে প্রতিযোগিতার সম্পর্ক থেকে সহযোগিতার সম্পর্কের ওপর জোর দিলে সব পক্ষ লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
একমাসের ব্যবধানে জামিনে মুক্ত হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রথম সারির অন্তত পাঁচ নেতা। একইসঙ্গে সারাদেশের নেতাকর্মীরাও জামিন পেয়ে বাইরে বেরিয়ে আসছেন। হঠাৎ করে একের পর এক জামায়াত নেতার মুক্তিতে দলের ভেতরেই শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। এসব মুক্তি আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের সঙ্গে কোনও ধরনের আপসরফার ইঙ্গিত কিনা, এ নিয়ে খোদ দলটির নেতাদের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। জামায়াতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে।
সরকারের প্রভাবশালী একটি সংস্থার সূত্র জানায়, জামায়াতের সঙ্গে সরকারের শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক ছাড় নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে বিএনপিকে ছেড়ে এককভাবে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে বিষয়টি সরকার ইতিবাচকভাবেই গ্রহণ করবে। তবে এখনও সবকিছু পরিষ্কার নয়।
তবে জামায়াত শীর্ষ নেতারা দাবি করেছেন, সরকারের সঙ্গে কোনও ধরনের সমঝোতা বা আপসরফা নয়, বরং দীর্ঘ আইনি লড়াই করেই নেতারা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও পরিকল্পনা নেই দলটির। এখনও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে নির্বাচনের বিষয়েই সিদ্ধান্ত রয়েছে।
জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দেন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকেই জামিন লাভ করেন, কিন্তু তাদের শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আবার কারাগারে আটকে রাখা হয়। যাদের বিরুদ্ধে মামলা ছিল, তাদের প্রত্যেকের পর্যায়ক্রমে জামিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে ভিন্ন কোনও পয়েন্ট নেই।’
অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের আরও বলেন, ‘বিএনপির নেতারাও তো অনেকে বের হচ্ছে। এগুলো স্বাভাবিক। এই মামলাগুলো নিপীড়নমূলক, কেউ স্বাভাবিকভাবে গ্রেফতার হয়নি। একটা মামলা নিয়ে গ্রেফতার হলে পরে পাঁচটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।’
গত ২১ মার্চ জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান। কাছাকাছি সময়ে মুক্তিলাভ করেন নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার। গত বছরের অক্টোবরে গ্রেফতার হওয়া জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল দুই সপ্তাহ আগে মুক্তি পান। গত সপ্তাহে জামায়াতের সাবেক নেতা মাওলানা আতাউর রহমানের মৃত্যুতে মুক্তি পান তার মেয়েজামাই ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। এছাড়া জামায়াতের নেতা ও মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী মুক্তি পান কারাগার থেকে। তাদের প্রত্যেকের মুক্তির খবর চেপে রাখে জামায়াত।
যদিও এখনও জামায়াতের আমির মকবুল আহমাদ, সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান কারাগারে আছেন। আমির গত বছরের অক্টোবরে আটক হন উত্তরা থেকে আর নায়েবে আমির গ্রেফতার হন গত মার্চে। জামায়াতের একনেতা আশা প্রকাশ করেন, মকবুল আহমাদের মুক্তি দীর্ঘায়িত হলেও অধ্যাপক মুজিব জামিনে বেরিয়ে আসবেন।
জামায়াতের ঢাকা মহানগরের দায়িত্বশীল একাধিক নেতার সন্দেহ, শীর্ষ নেতাদের মুক্তিতে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের সম্ভাবনা থাকতে পারে। বিশেষ করে নির্বাচনে জামায়াতকে জোট থেকে বের করে আনা, এককভাবে নির্বাচনের বিষয়ে ক্ষমতাসীনদের আগ্রহ থাকতে পারে। আর দলীয় শীর্ষ পর্যায় থেকে এখনও সুনির্দিষ্ট করে মুক্তির বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ না হওয়া, নেতাদের মুক্তির বিষয়টি গোপন রাখা, এসব বিষয় তাদের সন্দেহ আরও জোরালো করে তুলেছে।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার একজন প্রভাবশালী সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর আঞ্চলিক দায়িত্বে থাকা একজন নেতা সন্দেহের বিষয়টি মিথ্যে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে কখনও জামায়াতের সমঝোতার হওয়ার সুযোগ নেই। এটা অসম্ভবও।’
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এগুলো অযাচিত সন্দেহ। নিয়মিত আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই নেতারা মুক্ত হচ্ছেন। এছাড়া আমিরে জামায়াত, নায়েবে আমির এখনও কারাগারে। আমরা এখনও আশাবাদী, ২০ দলীয় জোটের সঙ্গেই নির্বাচন করবো।’
"শেখ হাসিনা জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের সাথে আঁতাত করে টু থার্ড মেজরিটি নিয়ে ক্ষমতায় আসে" —– ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন জ্বী মইনুল সাহেব আমরা এটাই বলে আসছিলাম।আপনি আজ পাবলিকলি বলে আমাদের দাবী সত্য বলে মেন নিলেন।#Shakil Bhai
Posted by Rashed Rasa on Tuesday, April 3, 2018
সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় দেশের পাঁচ জেলার নামের ইংরেজি বানান পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে কেউ কেউ সাধুবাদ জানালেও অধিকাংশ মানুষই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সাধুবাদদাতাদের ভাষ্য, এটি সরকারের সাহসী সিদ্ধান্ত। ভুল সংশোধন করাটাই তো যৌক্তিক। তবে বিরোধীদের দাবি, সরকারের এ সিদ্ধান্তের কারণে মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্রে জেলার নাম পরিবর্তন করা লাগবে। এতে মানুষের ভোগান্তির শিকার হওয়ার পাশাপাশি সরকারের অর্থের অপচয় হবে। এদিকে, জেলাগুলোর সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, এ সিদ্ধান্তে খুব একটা সমস্যা হবে না।
বাংলা ট্রিবিউনের যশোর প্রতিনিধি তৌহিদ উজ জামান জানান, এ জেলার নামের ইংরেজি বানান পরিবর্তনের ঘোষণায় রীতিমতো বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় বানান পরিবর্তনের বিপক্ষে জনমত তৈরি করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ইভেন্ট পেজ খোলা হয়েছে। শহরে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে।
এ জেলার নামের ইংরেজি বানান পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগসহ ক্ষমতাসীন জোটের নেতারা। তবে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। অনেক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
যশোরের একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের সম্পাদক আল মামুন শাওন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘অনেকেই বলছে, জেলার নামের ইংরেজি বানান পরিবর্তনে লাভটা কোথায়? আরে ভাই, বুঝলেন না, এ সিদ্ধান্তের কারণে চার শিক্ষাবোর্ডের সব জেলা এবং দুই বিভাগের সব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন দফতরের নথিপত্রসহ নানা কিছু পরিবর্তন করতে হবে। আর এ জন্য টেন্ডার হবে, সরকারের শত শত বা হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এতে অনেক মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে। অনেকে নাস্তা-পানির জন্য লাখ লাখ টাকা পাবেন। আরও কত হিসাব …’
যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হুসাইন শওকত বলেন, ‘জেলার নামের ইংরেজি বানান পরিবর্তন সংক্রান্ত গেজেট চলে এলে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। সরকারি সিদ্ধান্ত, বাস্তবায়ন করা হবেই। এ নিয়ে কোনও জটিলতারও কিছু নাই।’
যশোর শিক্ষাবোর্ডের সচিব ড. মোল্লা আমির হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সরকার ইনিশিয়েটিভ নিলে আমরা সব ঠিক করে দেবো। বানানের পরিবর্তন বড় কোনও সমস্যা নয়। আগের সার্টিফিকেটের বানান কেউ পরিবর্তন করতে চাইলে সেটিও করে দেবো। মূলকথা হচ্ছে, পরিপত্র জারি করা হলে আমরা তা পালন করবো। এক্ষেত্রে অন্য শিক্ষাবোর্ড কী প্রক্রিয়া চালু করে, সেটি দেখে পরবর্তী সময়ে আমরা সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেবো।’
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রিবি) ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যশোরের নতুন ইংরেজি বানানটা আমরা গ্রহণ করেছি। নতুন বানানে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। ভুল তো ভুলই। এখন শুদ্ধ হলে সেটিই আমরা ব্যবহার করবো। নতুন বানানে হয়তো সাময়িক অসুবিধা হবে, তবে তা খুব বড় কিছু নয়।’
যশোরবাসী সমন্বয় কমিটির নির্বাহী পরিচালক ফারুক জাহাঙ্গীর আলী টিপু বলেন, ‘আমরা মনে করি, শুধু বানান পরিবর্তনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ব্যাপক সময় এবং অর্থের অপচয় হবে। এই শুদ্ধকরণ কাজে রাষ্ট্রের কোনও অর্থনৈতিক ক্ষতি ছাড়া উন্নতি দেখছি না। এর ফলে সাধারণ ব্যবসায়ীদের প্রিন্টেড সব কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করতে হবে। বিল প্যাড ইন-ভয়েস, রাবার স্ট্যাম্প, বাড়ির ঠিকানা, দোকানের সাইনবোর্ড, গাড়ির নম্বরপ্লেট, ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন, ইনকাম ট্যাক্স সার্টিফিকেট, জন্মসনদ, নাগরিক সনদ, পরীক্ষার সার্টিফিকেট, অর্থাৎ জীবনের সাথে সম্পৃক্ত সমস্ত কাগজপত্র পরিবর্তন করতে হবে।’
যশোরের আইনজীবী মোস্তফা হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘ইংরেজি বানানে আমাদের তো কোনও সমস্যা হচ্ছে না। যশোরের এই বানান আমাদের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে রয়েছে। কোনও অবস্থাতেই এটি পরিবর্তন করা ঠিক হবে না।’
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু বলেন, ‘আগের বানানে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাচ্ছিল –এমন তো নয়। এই নামের বানান পরিবর্তনে কোটি কোটি টাকার শ্রাদ্ধ হবে। আর বানান পরিবর্তন হলে মানুষের অর্থনৈতিক, মানসিক ও কায়িক শ্রমের ক্ষতি ছাড়া কোনও লাভ দেখি না। সুতরাং যেমন আছে, তেমনই থাক।’
লেখক গবেষক বেনজীন খানের মতে, ‘যাদের কোনও কাজকাম নেই, তারাই এসব ফালতু বিষয় নিয়ে উচ্চকিত। ইতিহাসে নাম লেখানোর অপচেষ্টা। এটি স্রেফ রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি।’
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘এই নামের বানান পরিবর্তনে আমাদের কী উপকার হবে! গত ৪৭ বছরে এই বানানে তো কোনও সমস্যা হয়নি। হঠাৎ কেন এই পরিবর্তন, বুঝে আসে না।’
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, ‘হঠাৎ কেন এই পরিবর্তনের ইস্যু তৈরি করা হলো তা সাধারণ মানুষের বোধগম্য নয়।’
অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‘দেশে অনেক সমস্যা রয়েছে। সেগুলোর সমাধান না করে অহেতুক নামের বানান পরিবর্তনের চেষ্টা কেন! যে বানান রয়েছে, তাতে কার কী সমস্যা হচ্ছে, বুঝি না। অহেতুক টাকা-পয়সা খরচ, আর জনভোগান্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
বাংলা ট্রিবিউনের বগুড়া প্রতিনিধি নাজমুল হুদা নাসিম জানান, এ জেলার নামের ইংরেজি বানান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন, এতদিন আমরা ভুলের মধ্যে ছিলাম; এখন সঠিক হলাম। আবার কেউ বলছেন, বানান পরিবর্তন করার প্রয়োজন কী? এতে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধনসহ সবকিছু থেকে বানান সংশোধন করতে হবে। এতে শুধু ভোগান্তি নয়; সরকারের বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হবে। তবে নির্বাচন অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, আপাতত কিছু পরিবর্তন হচ্ছে না; পরবর্তী সময়ে সরকার নিজ ব্যয়ে সবকিছুতে বানান সংশোধন করে নেবে।
বগুড়ার প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, দিল্লির সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের দ্বিতীয় ছেলে সুলতান নাসির উদ্দিন বগ্রা খান যখন বাংলার শাসনকর্তা নিযুক্ত হন, তখন তার নামানুসারে এ জেলার নামকরণ করা হয়। এ জেলার নামের ইংরেজি বানান পরিবর্তনে ইতিহাস বিকৃতি হবে।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর ডালিয়া নাসরিন রিক্তা বলেন, ‘সরকার আমাদের জেলার ইংরেজি বানান ভুল থেকে সঠিক করেছে। এতে জনগণের বিভ্রান্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই।’
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য আবদুস সালাম বাবু জানান, ‘সরকারের বগুড়ার ইংরেজি বানান পরিবর্তনের সিদ্ধান্তে কোনও সমস্যা দেখছি না। আগে আমরা ভুলের মধ্যে ছিলাম, এখন সেটা থেকে মুক্ত হলাম।’
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার জিয়ানগর গ্রামের ব্যবসায়ী আসাদুর রহমান জানান, জেলার নামের ইংরেজি বানান পরিবর্তন করায় জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, শিক্ষাসনদ, জন্ম নিবন্ধনসহ সব কাগজপত্রে পরিবর্তন করতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য, পারস্পরিক যোগাযোগসহ বৈদেশিক কাজে বিভিন্ন ডেটাবেইসে নাম পরিবর্তন করতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ হবে। পাশাপাশি কাগজপত্র পরিবর্তন করতে জনগণকে হয়রানির শিকার হতে হবে।
ধুনট উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক একেএম তৌহিদুল আলম মামুন জানান, বাংলার শাসক বগ্রা খার নামানুসারে বগুড়া জেলার নামকরণ হয়েছিল। সরকার ইংরেজি বানান পরিবর্তন করায় ইতিহাস বিকৃতি হলো। এ ছাড়া, অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই বানান পরিবর্তন করতে হবে। এতে অনেক টাকা ব্যয় হবে।
বগুড়া সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এজাজুল হক জানান, বাংলার শাসক নাসির উদ্দিন বগ্রার নাম অনুসারে এ জেলার নামকরণ হয়েছিল। জেলার ইংরেজি বানান পরিবর্তন করার প্রয়োজন ছিল না। এতে একদিকে ইতিহাস বিকৃতি; অন্যদিকে পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাসনদ, জন্মনিবন্ধনসহ সবকিছুতেই বানান সংশোধ করতে হবে। আর এতে জনগণকে অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হবে।
বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়ান মো. সারোয়ার জাহান জানান, জেলার ইংরেজি বানান পরিবর্তন করায় আপাতত কোনও সমস্য হবে না। পরবর্তী সময়ে সরকার সফটওয়্যার পরিবর্তন করলে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সর্বক্ষেত্রে বানান পরিবর্তন হবে। এটা রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত; তাই জনগণকে কোনও দায় নিতে হবে না।’
বাংলা ট্রিবিউনের বরিশাল প্রতিনিধি আনিুর রহমান স্বপন জানিয়েছেন, এ জেলার নামের ইংরেজি বানান পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে, আবার কেউ বলেছেন, দরকার ছিল না। আবার অনেকের মত, এ বানানে অভ্যস্ত, বানানটিকে প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত করতে সময় লাগবে।’
গবেষক সাইফুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘বানান পরিবর্তনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের আঞ্চলিক পরিচয় তুলে ধরা সহজ হবে। এক্ষেত্রে লেখক ও মিডিয়াকে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও বরিশালের ভাষার অভিধান রচয়িতা ড. মুহাম্মদ মুহসিন বলেছেন, উচ্চারণানুগ প্রতিবর্ণীকরণ খারাপ কিছু নয়। তবে বহুদিন ধরে প্রচলিত এ বানান বদলাতে এবং সর্বত্র চালু করতে প্রচুর সময়, অর্থ, শ্রম লাগবে।
বরিশাল নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এটি খুব জরুরি কোন বিষয় ছিল না। তবে এতে মাতৃভাষার ধ্বনির প্রতি আমাদের ভালবাসার টান ফুটে উঠেছে।’
মহানগর জাতীয় পার্টির (এরশাদ) আহ্বায়ক বিসিসি কাউন্সিলর মর্তুজা আবেদীন বলেন, ‘এ পরিবর্তনের কারণে আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনে যাতে সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোশিয়েশনের বরিশাল আঞ্চলিক রেঞ্জার কাউন্সিলর সভাপতি তানিমা রহমান খান বলেন, ‘এ বানান চালু হলে বিদেশে আমাদের নাম-পরিচয় তুলে ধরতে সুবিধা হবে।’
বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি বিধান সরকার মনে করেন, ‘এ উদ্যোগ ভালো।’ স্বাধীন বাংলা বেতারের কর্মী অরূপ তালুকদার বলেন, ‘এটা যে খুব বড়ো বা বেশি প্রয়োজনীয় কোনও পরিবর্তন তা নয়। তবে এতে আমাদের ভাষার ধ্বনির উচ্চারণানুগ প্রতিবর্ণীকরণে পরির্তনের হাওয়া লাগবে।’
বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম বলেছেন, ‘এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনও চিঠি পাইনি। পেলে সে অনুযায়ী আন্তঃবোর্ড কমিটির সভা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত রাতারাতি কার্যকর করা যায় না, সময় লাগে। প্রযুক্তিগত সেটআপ বদলাতে হয়। তবে প্রাথমিকভাবে কিছু ঝামেলা হলেও আস্তে আস্তে তা কেটে যাবে।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর স ম ইমামুল হক বলেন, ‘এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও চিঠি না এলেও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সমন্বয়ের চিন্তাভাবনা চলছে।’
বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঔপনিবেশিক শাসনের চিহ্ন মুছে দিতে বিদেশি ভাষায় নামের বানান পরিবর্তনের মতো সিদ্ধান্ত সাহসী ও ধন্যবাদযোগ্য।’
বাংলা ট্রিবিউনের কুমিল্লা প্রতিনিধি মাসুদ আলম জানান, এ জেলার নামের ইংরেজি বানান পরিবর্তনে মানুষের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। কেউ কেউ এ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করলেও অনেকে সমালোচনা করছেন। সমালোচকদের অভিমত, পরিবর্তন করায় কুমিল্লার উচ্চারণ এখন ‘চিমুল্লা’ হয়ে যাবে।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কুমিল্লার ইংরেজি বানান পরিবর্তনে এই এলাকার কোনও অর্থনৈতিক উন্নতি হবে না। এতে বরং মানুষের ভোগান্তি বাড়বে। আমরা কুমিল্লার নামের বানান পরিবর্তনকে অযৌক্তিক মনে করি।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক, কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, ‘এ পরিবর্তনের কারণ আগে মানুষকে জানাতে হবে। জনগণের মতামত নিয়ে কুমিল্লার ইংরেজি বানান পরিবর্তন করলে কোনও বিতর্ক হতো না।’
কুমিল্লা সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. আলী হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এ পরিবর্তনে কুমিল্লার কোনও লাভ হবে না। তবে দেশ-সমাজ পরিবর্তনশীল, পরিবর্তনে কোনও দোষ নেই। প্রয়োজনে পরিবর্তন করা যেতে পারে।’
কুমিল্লার সাংবাদিক মহিউদ্দিন মোল্লা তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘কাজের কাজ করুন, মানুষকে ক্ষেপাবেন না।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান রাশেদা আক্তার তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আমরা বিভাগ ও নামের আদ্যাক্ষর লইয়া বড়ই অসহায় অবস্থায় পতিত হইলাম। নিজেদের নামও বদলাইয়া যাইবে কি..?’
কুমিল্লা সিটি কাউন্সিলর কাউসারা বেগম সুমি তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটসহ সব কিছুতেই কুমিল্লাবাসীকে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।’
জাকির হোসেন তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘নাম পরিবর্তনে কত টাকা ব্যয় বা ক্ষতি হবে? হিসাব কে রাখে।’
নজরুল ইসালাম বাবুল তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আর কত কিছুর নাম পরিবর্তন আমাদের দেখতে হবে, জানিনা! ভয় হচ্ছে, কখন আবার দেশের নাম পরিবর্তনের কথা কেউ ভেবে বসেন কিনা!’
কামরুল হাসান লিখেছেন, ‘নাম সংশোধন এত জরুরি নয়। কুমিল্লার রাস্তাঘাট মেরামত অতি জরুরি।’ এমন আরও অনেকেই নাম পরিবর্তন নিয়ে নানান কথা লিখেছেন।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. রুহুল আমীন ভূঁইয়া বলেন, ‘জেলার নামের ইংরেজি বানান পরিবর্তনে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবকদের হয়রানির সম্মুখীন হতে হবে না।’
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর বলেন, ‘এ জেলার নামের ইংরেজি বানান পরিবর্তনের বিষয়টি শুনেছি। তবে কি ধরনের পরিবর্তন হয়েছে, গেজেট না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।’
এদিকে, বাংলা ট্রিবিউনের চট্টগাম প্রতিনিধি হুমায়ুন মাসুদ জানান, এ জেলার নামের ইংরেজি বানান পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে অনেক মানুষই সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে এর সমালোচনা করছেন অনেকে।
চট্টগ্রাম পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি অতো জরুরি হয়ে পড়েনি যে, চিটাগংকে এখনই চট্টগ্রাম-এ পরিবর্তন করতে হবে। কারণ আমরা চিটাগংয়ের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে ধীরে ধীরে বিদেশিরা চট্টগ্রাম নামে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। এর জন্য একটু সময় লাগবে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘নাম পরিবর্তনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। এ কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ এখানে যেসব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ওইসব প্রতিষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বের হয়ে যাওয়া সবার সার্টিফিকেট পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এতে অনেক টাকা খরচ হবে। নাম পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট এই জটিলতা নিরসনে সরকারের একটি আলাদা নীতিমালা ঘোষণা করা উচিত।’
নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চিটাগংকে চট্টগ্রাম নামে পরিবর্তন করা আমার কাছে যুক্তিযুক্ত কোনও সিদ্ধান্ত মনে হয়নি। কারণ, চট্টগ্রাম নাম দেওয়ায় এই অঞ্চলে আলাদা কোনও বৈশিষ্ট্য যোগ হবে না। উল্টো নাম পরিবর্তনের কারণে বিপুল অর্থের অপচয় হবে। অনেক জটিলতা তৈরি হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মহলে চিটাগংয়ের একটা স্বীকৃতি আছে। চট্টগ্রাম শব্দটি ওই স্বীকৃতি অর্জন করতে পারবে কিনা আমি নিশ্চিত নই। এই শব্দে বিদেশিদের অভ্যস্ত করাটাও একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।’
নাম পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি নামের পরিবর্তন মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এটির সঙ্গে আবেগ জড়িয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে ‘গ্রাম’ যুক্ত হোক, আমরা এটি কোনোভাবে মেনে নিতে পারবো না।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘চিটাগং নাম পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম করায় আমরা খুব খুশি হয়েছি। একটা জায়গার দু’টি নাম থাকা উচিত নয়। আর চট্টগ্রামের সঙ্গে আমাদের একটা আবেগ জড়িয়ে আছে। তাই সরকার চিটাগংকে পরিবর্তন করে চট্টগ্রাম নামকরণ করায় আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’ তিনি মনে করেন, ‘নাম পরিবর্তনের কারণে খুব বেশি জটিলতার সৃষ্টি হবে না।’
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘নাম পরিবর্তনের বিষয়ে এখনও কোনও অফিসিয়াল আদেশ আমরা পাইনি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত। আদেশ পাওয়ার পর সবকিছু পরিবর্তন করতে হবে। বিশেষ করে সব আইডি কার্ড সংশোধন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সরকারনাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এর ফলে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনেও অবশ্যই সরকারের ঊর্ধ্বতনরা ব্যবস্থা নেবেন। তাই নাম পরিবর্তন নিয়ে যে জটিলতার আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেটি খুব বেশিদিন থাকবে না।’
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘আমারা এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত অফিসিয়াল কোনও আদেশ পাইনি। তবে নাম পরিবর্তন হলে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে বন্দর কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। ওইসব আইনগুলো সংশোধন করতে হবে।’ এ ছাড়া, অন্য যেসব কাজ আছে সেগুলো তাড়াতাড়ি সংশোধন করা যাবে।’
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম বলেন, ‘যেহেতু সরকার চিটাগংকে চট্টগ্রামে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সুতরাং আমাদের অবশ্যই এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা সিন্ডিকেট বৈঠক করে কিভাবে কখন থেকে নাম পরিবর্তন করবো, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। পরে ওই সিদ্ধান্তের আলোকে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।’

– বলেছেন ৭১’এ পাকসেনাদের মুরগী সরবরাহকারী হিসেবে অভিযুক্ত শাহরিয়ার কবির।
সরকারের ‘মডেল মসজিদ’ প্রকল্পের সমালোচনা করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, সরকারিভাবে কখনো মসজিদ-মাদ্রাসা হয় না। ইসলামে আছে মসজিদ করবে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী। সরকারের টাকায় দেশে মাদ্রাসা হতে পারে না। এটা সংবিধানেও নেই, ইসলামেও নেই।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের মুসলিম ইন্সটিটিউট হলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘দুই জেনারেল’ এর কাজের ফল পুরো জাতি ভোগ করছে দাবি করে বলেন, একাত্তরে কী আমরা যুদ্ধ করেছি স্বাধীন বাংলাদেশে ‘রাষ্ট্রধর্ম’ রাখার জন্য? এখনো যদি রাষ্ট্রধর্ম থাকে তাহলে পাকিস্তান ভাঙ্গার কী দরকার ছিল?
তিনি বলেন, সবাই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে, কে করছে না? বরং এ নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে। মৌলবাদী চেতনা বিস্তারের ক্ষেত্র তৈরি করছেন আর দাবি করবেন মৌলবাদ-সন্ত্রাসবাদ নেই, তা তো হয় না।”
৭১’এ পাকসেনাদের মুরগী সরবরাহকারী হিসেবে অভিযুক্ত শাহরিয়ার কবির বলেন, অনেকের জন্য নির্বাচন উৎসবমুখর। কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য নির্বাচন উৎসবের নয়, আতঙ্কের। অতীতেও নির্বাচনের পর তারা সহিংসতার শিকার হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ২০১৮ সালে বেশি সহিংসতা হবে। এর শিকার হবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। আশঙ্কার কথা বলছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখিনি।
কবির আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা বলেছি। এটা তাদেরই নিশ্চিত করতে হবে যেন একটিও সহিংসতার ঘটনা না ঘটে। সবাই বলছে প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের কথা। ষড়যন্ত্র হচ্ছে, বলা হচ্ছে- বিএনপি-জামায়াত না এলে ইনক্লুসিভ নির্বাচন হবে না। আমি প্রশ্ন করি এই দুই কোটি সংখ্যালঘু মানুষকে বাদ দিয়ে কিভাবে ইনক্লুসিভ নির্বাচন হবে?
নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট এ্যাক্ট এর বিধান মতে চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কিছু না কিছু ধারণা থাকা উচিত। কেননা এ আইনে মামলা দায়েরের পদ্ধতি একটু ভিন্ন প্রকৃতির। দৈনন্দিন জীবনে চেকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। চেক প্রতারণার ঘটনাও উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি চেকের মেয়াদ কতদিন, তা কতবার নগদায়নের জন্য উপস্থাপন করতে হয়, তা ডিজঅনার হওয়ার কতদিনের মধ্যে নোটিশ দিতে হয় কিংবা মামলা করতে হয় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় অনেকেই প্রতারকের হাতে কষ্টার্জিত অর্থ হারিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকছেন। আমাদের দেশে সার্বজনীন আইন শিক্ষা না থাকায় আইন অজ্ঞতা হেতু আমরা প্রতিনিয়ত ঠকছি, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। অথচ আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আইন আছে। তার সঠিক প্রয়োগের অভাবে অনেকেই নিঃস্ব হচ্ছেন। অনেকে লেনদেনের ক্ষেত্রে নগদ টাকা দিয়ে চেক ফেরৎ নেন না। কিংবা চেক হারিয়ে গেলে/নষ্ট হলে থানায় জিডি ও ব্যাংকে স্টপ পেমেন্ট ইত্যাদি করেন না কিংবা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার বা প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। এতে দেখা যায় টাকা আদায় করা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে চেকের মামলা হচ্ছে। আবার দেখা যায় চেক প্রদানকারী উল্টো টাকা ‘প্রাপকের’ বিরুদ্ধে চেক উদ্ধারের মামলা করছেন। অর্থাৎ আইন অজ্ঞতার এবং অসচেতনতার কারণে একদিকে অনেক নিরপরাধ ব্যক্তি দণ্ড ভোগ করেন,তেমনি আবার অনেকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হন। সুতরাং এতদসংক্রান্তে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা জনস্বার্থে জরুরি মনে করছি।
আমাদের দেশে চেক ডিজঅনারের মামলার পদ্ধতি সম্পর্কে বহু ভুল ধারণা রয়েছে। ফলে দেখা যায় পদ্ধতিগত কারণে অনেকের মামলার অধিকারই নষ্ট হয়ে যায়। চেকের মামলা করতে ৩ (তিন) বার চেক ডিজঅনার করাতে হয় মর্মে একটি ভুল ধারণা আমাদের দেশে সর্বসাধারণে প্রচলিত রয়েছে। অনেক বিজ্ঞ প্রাজ্ঞ ব্যক্তি ও অভিজ্ঞ ব্যাংক কর্মকর্তাকেও দেখেছি চেকের মামলার জন্য গ্রাহককে ৩ বার চেক ডিজঅনার করানোর পরামর্শ দিতে। এটা একটা প্রচলিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। যা একটা অত্যন্ত ভুল পরামর্শ। প্রকৃত পক্ষে আইনে এ ধরনের কোন বাধ্যবাধকতা নেই। এ ব্যাপারে এন,আই, এ্যাক্টের বিধান মতে চেক ৬ মাসের মধ্যে যেদিন ডিজঅনার হবে সেদিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে লিগ্যাল ডিমান্ড নোটিশ প্রদানের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। একাধিকবার ডিজঅনার করানোর ব্যাপারে আইনটি সম্পূর্ণ নীরব।
একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকার দরুণ চেক ডিজঅনার হলে ফৌজদারী আইনে তার শাস্তির বিধান রয়েছে। এ ব্যাপারে ১৮৮১ সালের নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট এ্যাক্ট এ কতিপয় ধারা সংযোজিত/সংশোধিত হয়েছে। ১৯৯৪ সালের ১৯নং আইন বলে উক্ত আইনের ১৩৮ হতে ১৪৪ ধারায় চেক ডিজঅনারের বিধি বিধান আলোচিত হয়েছে। পরবর্তীতে ২০০০ সনের ১৭নং আইন এবং ২০০৬ সালের ৩নং ধারা এ অধ্যায়টি অধিকতর সংশোধনী আনা হয়েছে।
কোন ব্যক্তি যদি তার কোন ঋণ বা দায় হতে অব্যাহতি পেতে তার ব্যাংক একাউন্ট হতে পাওনাদার ব্যক্তিকে কোন পরিমাণ টাকা প্রদানের জন্য চেক কাটেন বা ইস্যু করেন কিন্তু চেকটি নগদায়নের জন্য উপস্থাপন করা হলে ব্যাংক কর্তৃক চেকটি ডিজঅনার হয়ে ফেরত আসে তাহলে নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট এ্যাক্টের ১৩৮ ধারার বিধান অনুযায়ী দেনাদারের বিরুদ্ধে ফৌজদারী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সরাসরি মোকদ্দমা দায়ের করতে হয়। ১৪০ ধারায় ফার্মের অংশীদার ও কোম্পানীর সংশ্লিষ্ট পরিচালকগণ চেক প্রতারণার মামলায় আসামী হবেন।
চেক ডিজঅনারের মামলায় কতিপয় পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয় :
চেকের মামলা গৃহীত পদক্ষেপসমূহঃ
চেকের মামলা সংক্রান্ত আলোচনার ক্ষেত্রে সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার আর্থিক ও ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো চেক গ্রহণের ক্ষেত্রে নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট এ্যাক্ট ও ব্যাংকিং আইনের বিধান সম্পূর্ণ মেনে চলে না। অসম্পূর্ণ বা অর্ধ–পূর্ণ কিংবা অপূর্ণ (ব্ল্যাংক) চেক গ্রহণের মাধ্যমে চেকের মামলার মূল ধারাকে স্বয়ং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। ৬ মাসের চেকের মেয়াদ কালে ৩ বার বা বার বার ডিজঅনার করানো একটি ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। অথচ চেক যেদিন ডিজঅনার হয় সেদিন থেকে তামাদিকাল গণনা শুরু হয়। চেকের মামলাসমূহের দ্রুত ও যথার্থ নিষ্পত্তির জন্য নিম্নোক্ত পদক্ষেপসমূহ জরুরিঃ
চেক সঠিকভাবে গ্রহণ (পূর্ণাঙ্গরূপে),
ব্লাংক চেকের ক্ষেত্রে ম্যান্ডেন্টের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ,
সমন ও ওয়ারেন্ট জারির জন্য স্পেশাল তদবির,
ক্ষতিকর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ক্ষেত্রে তড়িৎ পদক্ষেপ,
বিচারক পর্যায়ে মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়রা জজ আদালতসমূহের পিপি সাহেবদের যথার্থ তদবীর এর প্রয়োজন,
প্রতিষ্ঠান কর্তৃক Authorized Officer
নিয়োগে তড়িৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং দক্ষ Officerমামলার জন্য নিয়োগ দেয়া,
কোন চেকের বিপরীতে কত টাকা গ্রহণ করা হয়েছে তার পরিসংখ্যান সুনির্দিষ্টকরণ ও সংরক্ষণ,
চেকের মামলার আপোষের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অবস্থানে আশা বাঞ্ছনীয়। কারণ আপোষের কথা চলমান থাকাবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলো মামলার পরবর্তী পদক্ষেপে তদবীরের অভাব পরিলক্ষিত হয়।
আসামীর সঠিক ঠিকানা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক। অসম্পূর্ণ বা ভুল ঠিকানায় সমন বিনা জারীতে ফেরত আসে যা মামলাকে প্রলম্বিত করে।
ঋণ মঞ্জুরীর ক্ষেত্রে ব্যাংক জামানত হিসেবে বিবেচনা করেন:-
১। পণ্য বন্ধক (হাইপোথিকেশন), ২। পণ্য বন্ধক (প্লেজ) , ৩। জমি বন্ধক
৪। ঋণ গ্রহীতা হতে চেক গ্রহণ।
অলিখিত তারিখ বিহীন চেক গ্রহণ করা বর্তমানে বেআইনী।
চেক নিতে হলে ম্যান্ডেট সহ ফরোয়ার্ডিং এবং তারিখ বসানোর ক্ষমতা নিতে হবে । বর্তমানে অর্থ ঋণে মামলা করলে চেকের মামলা উচ্চ আদালত স্থগিত করছে । যেহেতু একই দেনা পাওনা ও একই বাদী বিবাদী সংক্রান্ত বিষয় হয়।
চেকের মেয়াদ
১।চেকে প্রদত্ত তারিখ হতে এর মেয়াদ ৬ (ছয়) মাস। এ ছয় মাসের মধ্যে কমপক্ষে একবার কিংবা সুস্পষ্ট কারণে একাধিকবার উক্ত চেক নগদায়নের জন্য উপস্থাপন করা যেতে পারে।
২। ন্যূনতম ১ বার ডিজঅনার হওয়ার কথা বলা হয়েছে বেশি কতবার তা সীমা বর্ণিত না হলেও ৬ মাসের মধ্যে যতবার ইচ্ছা করা যায়। তবে এর যথেষ্ট কারণ থাকতে হবে। কোন অজুহাত ছাড়া বার বার চেক ডিজঅনার করা যাবে না।
৩। যে দিন চেকটি ডিজঅনার হয়েছে সে তারিখ থেকে বা সর্বশেষ ডিজঅনারের তারিখ থেকে ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে চেক প্রদানকারী ব্যক্তি বা ফার্মকে চেকের টাকা পরিশোধের জন্য ফেরৎ রশিদ সহ রেজিস্টার্ড লিগ্যাল ডিমান্ড নোটিশ প্রদান করতে হবে।
৪। ধারকের পক্ষে তার আইনজীবী কিংবা চেকটির ধারক (হোল্ডার) নিজেও উক্ত নোটিশ দিতে পারেন।
৫। তবে এখানে সতর্ক থাকতে হবে যেন নোটিশটির আইনগত ত্রুটি না থাকে। কেননা এটি পরবর্তীতে মামলা দায়েরের ভিত্তি হবে। তাই চেকের মামলা সম্পর্কে অভিজ্ঞ আইনজীবী হতে পরামর্শ গ্রহণ করা উত্তম।
৬।বর্তমান সংশোধিত বিধান মতে ৩ ভাবে নোটিশ দেয়া যায়–
(ক) সরাসরি নোটিশ হস্তান্তরের মাধ্যমে (খ) রেজিঃ ডাকযোগে লিখিত নোটিশ (গ) দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে। নোটিশে চেকের উল্লেখিত টাকা পরিশোধের জন্য চেক প্রদানকারী ব্যক্তি কিংবা ফার্মকে নোটিশ প্রাপ্তির দিন হতে টাকা আদায়ের জন্য ৩০ (ত্রিশ) দিন সময় দিতে হবে।
(ঘ) দেনাদারের সর্বশেষ জানা সঠিক ঠিকানায় নোটিশ দিলে তা প্রাপক গ্রহণ না করলে, ফেরত আসলে/প্রত্যাখ্যান করলে তাতে মামলার কোন ক্ষতি হবে না। তবে আইনের বিধান হচ্ছে লিখিতভাবে নোটিশ দিতেই হবে এবং নোটিশে প্রাপককে টাকা আদায়ের জন্য নোটিশ প্রাপ্তির দিন হতে ৩০ (ত্রিশ) দিন সময় দিতে হবে। এর আগে মামলা করা যাবে না। নোটিশ গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের দিন থেকে উক্ত সময় গণনা হবে।
৭। নোটিশটি গৃহীত কিংবা প্রত্যাখ্যান হওয়ার তারিখ হতে ১ (এক) মাস অতিবাহিত হওয়ার পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সি,আর,সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে।
৮। ডাক বিভাগের অনিয়ম এবং অবহেলার কারণে এ/ডি ফেরত না আসলে বা প্রাপকের কোন জবাব পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে নোটিশ প্রেরণের তারিখ হতে ৩০ (ত্রিশ) দিন পর পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে মামলা দায়ের করতে হবে। মামলা দায়েরের সময় প্রসংগে দি নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট এ্যাক্টের ১৪১ ধারার বিধান আছে ।
সূত্র : (ক) (৫১ ডিএলআর (এডি) ১৯৯৯নং পৃষ্ঠা ২১৮ (এসএম, আনোয়ার হোসেন বনাম মোঃ সাইফুর আলম গং) এ সকল বিষয়ে মামলার আর্জিতে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা দিতে হয়। নোটিশ পাওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে চেক প্রদানকারী চেকের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে নোটিশের ৩০ দিনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ থেকে মামলার কারণ বা ‘কজ অব এ্যাকশন’ শুরু হয়।
A complaint for an offence under section 138 can be filed within one month from the date of cause of action. The cause of action starts from expiry of 30 days from the date of service of notice to the accused. (Venu vs. Krishnappa, (1992)2 Crimes 542)
৯। সুচতুর প্রতিপক্ষ (দেনাদার) মামলার ‘কজ অব এ্যাকশন’ নষ্ট করতে কিংবা চেকের মেয়াদ পার করিয়ে দিতে বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করতে পারে। এজন্যে এ ব্যাপারে পাওনাদারকে সতর্ক থাকতে হয়।
১০। অবশ্য চেকের মেয়াদ চলে গেলেও দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ইত্যাদি ধারায় প্রতারণার মামলা করা যায়। ৪০৬ ধারাটি জামিন অযোগ্য হয়। দন্ডবিধির উক্ত ধারা ২ (দুই)টি যে কোন প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট এ্যাক্টের ২০০৬ সালের সংশোধনী :
১। ১৮৮১ সালের দি নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট এ্যাক্টের (১৮৮১ সালের ২৬ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধনীর লক্ষ্যে ২০০৬ সালের ৯নং আইন দি নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট এ্যাক্টের (সংশোধনী) অনুযায়ী subsection 1 এর clause (b) ও (প) মতে চেক ডিজঅনার হওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে চেকের লেখক (Drawer) বরাবরে নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের জন্য লিখিতভাবে লিগ্যাল নোটিশ দিতে হবে।
২। সংশোধিত আইন অনুযায়ী sub-section (1) এর sub-section (1A) সংযোজনের মাধ্যমে চেক ডিজঅনারের নোটিশ জারীর তিনটি পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে। পদ্ধতি তিনটি হচ্ছে–
ক) যার নিকট নোটিশ জারী হবে তার নিকট ডেলিভারী প্রদানের মাধ্যমে অথবা খ) প্রাপ্তি স্বীকার পত্র সহ প্রাপকের দেশে ও বিদেশের ঠিকানায় রেজিস্ট্রারী ডাকযোগে প্রেরণের মাধ্যমে অথবা গ) বহুল প্রচারিত জাতীয় বাংলা দৈনিকে প্রকাশের মাধ্যমে। এছাড়াও — ঘ)সংযোজিত ১৩৮ (এ) তে বলা আছে ডিজঅনারকৃত চেকের ৫০ শতাংশ অর্থ জমা প্রদান ব্যতিরেকে অত্র আইনের কোন শাস্তির আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যাবে না।
১৩৮ ধারার সীমাবদ্ধতা
নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট এ্যাক্ট এর ১৩৮ ধারা শুধুমাত্র ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতারণার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। চেক ডিজঅনারের মামলায় সঠিক সময়ে চেক ডিজঅনার না করা, সঠিক সময়ে নোটিশ প্রেরণ না করা ও সঠিক সময়ে আদালতে নালিশ দায়ের না করায় মামলাটি প্রাথমিকভাবে খারিজ হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ বিজ্ঞ আদালত মামলাটি এ সকল কারণে আমলে গ্রহণ না করতে পারেন। নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট এ্যাক্টের ১৩৮ ধারার মামলায় উল্লেখিত সময় বা দায়েরের মেয়াদ কোন অবস্থাতেই কিংবা যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখিয়ে হ্রাস বৃদ্ধি করা যায় না।
নালিশের সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তু ১। চেক ডিজঅনারের মামলায় নালিশের দরখাস্তে বাদী ও অভিযুক্ত/আসামীর পরিচয়, ২।চেক লেনদেনের সংক্ষিপ্ত ঘটনা, ৩। ঘটনার তারিখ, ৪। মামলার ধারা, ৫। চেকের তারিখ, ৬। একাউন্ট নং, ৭। ব্যাংকের নাম, শাখা, ৮। চেকের নাম্বার,৯। চেকের টাকার পরিমাণ — ইত্যাদি পরিস্কারভাবে উল্লেখ করতে হয়।
তাছাড়া চেক ডিজঅনার হলে ব্যাংকের স্লিপে not arranged for/refer to drawer/Insufficient Funds ইত্যাদি যে কোন মন্তব্য সম্পর্কে উল্লেখ থাকতে হয়।
নোটিশ প্রাপক নোটিশ পাওয়ার জবাবে তার প্রদত্ত স্বীকৃতি বা সর্বশেষ অস্বীকৃতি ইত্যাদিও আর্জিতে উল্লেখ করতে হয়। একটি গ্রহণযোগ্য ভালো আর্জি বাদীর (অভিযোগকারীর) মামলা প্রমাণে সমর্থ হয়। আর্জিতে লেনদেনের কারণ উল্লেখ না করলে দেনাদার চেকখানা মিসিং হয়েছে মর্মে মিথ্যা ডিফেন্স নিতে পারে।
এজন্যে আর্জিতে সাক্ষীর নাম এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দালিলিক প্রমাণ থাকলে তাও দায়ের করতে হয়। তবে চেকের মামলায় অভিযুক্তের স্বাক্ষরিত চেকই প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। চেক প্রদান করে একাউন্ট বন্ধ করে দেয়াও আরেকটি প্রতারণা।
কোন আদালতে মামলা হবে :
ইতিপূর্বে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণীর হাকিমের আদালতে ১৩৮ ধারার চেক ডিজঅনারের শাস্তিযোগ্য অপরাধের মামলা দায়ের ও বিচার হতো। বর্তমানে ২০০৬ সালের সংশোধিত আইনে অভিযোগটির বিচার হবে দায়রা জজ কোর্টে। সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের হলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানীর পর শপথ পাঠে বাদীকে পরীক্ষা করে জবানবন্দি নিয়ে শুনানী অন্তে সরাসরি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সমন/ওয়ারেন্ট জারী করতে পারেন। তিনি মামলা ভিত্তিহীন হলে কিংবা পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে প্রাথমিকভাবে খারিজ করতে পারেন। আদালত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অভিযোগ ছাড়া উক্ত আইনের ১৩৮ ধারায় অপরাধের অভিযোগ আমলে নিবেন না। সেশন জজ আদালতের অধস্তন কোন আদালত ১৩৮ ধারায় কিংবা এন.আই এ্যাক্ট এর কোন অপরাধের বিচার করতে পারবেন না।
লেখক : অ্যাডভোকেট
চেক ডিজঅনারের মামলার টাকা কে পাবেন :
সর্বশেষ সংশোধনী মতে ১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনারের মামলায় অপরাধীর শাস্তি হলো সর্বোচ্চ এক বৎসর মেয়াদের যে কোন মেয়াদে কারাদন্ড
অথবা চেকে বর্ণিত অর্থের তিনগুণ পর্যন্ত পরিমাণ অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ড প্রদান।
চেকে উল্লেখিত টাকার যতটুকু জরিমানা হিসেবে আদায় হবে তা চেকের বাহক বা ধারককে প্রদান করা হবে। কেননা এটা অন্যান্য ফৌজদারী মামলায় জরিমানার শাস্তি থেকে সম্পূর্ণ পৃথক।
বিজ্ঞ বিচারিক আদালত চেকের মামলায় জরিমানার টাকা আদায়ে জেলা কালেক্টর বা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারি কৌশলী মারফত দেওয়ানী আদালতে জারী মামলা দায়ের করতে হয়।
ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৮৬ ধারার বিধান মতেও জরিমানা দন্ড প্রাপ্ত অপরাধীর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয় পূর্বক জরিমানা আদায়ের জন্য পরোয়ানা জারী কিংবা খেলাপকারীর স্থাবর বা অস্থাবর বা উভয় প্রকার সম্পত্তিতে দেওয়ানী পদ্ধতি অনুযায়ী পরোয়ানা কার্যকর করে জরিমানার টাকা আদায়ের কর্তৃত্ব দিয়ে জেলার কালেক্টরকে পরোয়ানা দিতে পারবেন।
তবে টাকা আদায়ের পদ্ধতি আরো সহজ করা দরকার। যাতে প্রতারকরা আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বের হয়ে যেতে না পারে। টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখা যেতে পারে। মূল আইনে টাকা আদায়ের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট বিধান না থাকায় সংশ্লিষ্টদের মারাত্মক বিড়ম্বনা ও হয়রানির শিকার হতে হয়।
এছাড়াও চেকের ধারক তার অনাদায়ী অর্থ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ আদায়ের জন্য দেওয়ানী আদালতে মামলার অধিকার রাখে।
তবে মনে রাখতে হবে দেওয়ানী আদালতে টাকা আদায় এর মামলা সর্বশেষ লেনদেনের ৩ (তিন) বছরের মধ্যে করতে হয়।
কোন কোম্পানীর চেক ডিজঅনার হলে অপরাধ সংঘটনের সময় উক্ত কোম্পানির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরত কর্মকর্তা (পরিচালকগণ) উক্ত অপরাধের শাস্তিভোগ করবেন।
তবে ঘটনা সম্পর্কে কোন জ্ঞানই ছিল না এরূপ কোন ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়া যায় না।
কোম্পানি বা এসোসিয়েশন কর্তৃক প্রদত্ত চেক ডিজঅনার হলে নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট এ্যাক্টের ১৪০ ধারা প্রযোজ্য হবে। উক্ত আইনের ধারাসমূহ জামিনযোগ্য ও দ্রুত বিচারযোগ্য।
চেক প্রতারণায় তথা এনআই এ্যাক্টের মামলা সরাসরি থানায় দায়ের করা যায় না। তা সরাসরি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের করতে হয়।
আইনটি কোন কোন ক্ষেত্রে অপব্যবহারও হচ্ছে। টাকা আদায়ের পরও জামানত স্বরূপ প্রদত্ত চেক ব্যবহার করে হয়রানির শিকার করা হচ্ছে অনেককে।
এন.আই এ্যাক্টে জরিমানার অর্থ আদায়ে আইনী দুর্বলতার কারণে প্রকৃত প্রতারকরা পার পেয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া চেকের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করতে নির্দিষ্ট আদালতকে দায়িত্ব দিতে হবে যাতে উক্ত আদালতের উপর অন্য কোন মামলা মোকদ্দমার দায় দায়িত্ব না থাকে। এজন্য আইনটি আরো শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করা জরুরি, তবে ব্যবসায়ী, অর্থলগ্নিকারী ও পাওনাদারদের স্বার্থ রক্ষায় উক্ত আইনের বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা দরকার। এ ব্যাপারে বিচারক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী ও ব্যাংকারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ (ওরিয়েন্টেশন) ও কর্মশালার মাধ্যমে আইনের সঠিক প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখা যায়।
** ঋণ মঞ্জুরীর ক্ষেত্রে ব্যাংক জামানত হিসেবে বিবেচনা করেন:-
১। পণ্য বন্ধক (হাইপোথিকেশন), ২। পণ্য বন্ধক (প্লেজ) ৩। জমি বন্ধক ৪। ঋণ গ্রহীতা হতে চেক গ্রহণ।
চেকের মামলা গৃহীত পদক্ষেপসমূহঃ
চেকের মামলা সংক্রান্ত আলোচনার ক্ষেত্রে সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণব্যাপার আর্থিক ও ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো চেক গ্রহণের ক্ষেত্রে নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এ্যাক্ট ও ব্যাংকিং আইনের বিধান সম্পূর্ণ মেনে চলে না। অসম্পূর্ণ বা অর্ধ–পূর্ণ কিংবা অপূর্ণ (ব্ল্যাংক) চেক গ্রহণের মাধ্যমে চেকের মামলার মূল ধারাকে স্বয়ং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। ৬ মাসের চেকের মেয়াদ কালে ৩ বার বা বার বার ডিজঅনার করানো একটি ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। অথচ চেক যেদিন ডিজঅনার হয় সেদিন থেকে তামাদিকাল গণনা শুরু হয়।
লেখক : আইনজীবী, কলামিস্ট, সু–শাসন ও মানবাধিকার কর্মী।

বেঁধে দেয়া দামে আলু বিক্রি করছে না ব্যবসায়ীরা; শিগগিরই কমছে না দাম। Potato Market
View Full Story

যশোরে দুই যুবককে একসাথে কুপিয়ে হত্যা, মামলা হয়নি এখনও | Jessore Double Murder
View Full Story
Youtube to MP3 & MP4 Online Converter
View Full Story

Moderators press Trump, Biden at dueling town halls
View Full Story

ভিয়েতনামে বন্যা ও ভূমিধসে ১৩ জনের মৃত্যু, কাদা মাটির নীচে আটকা অনেকে। Vietnam Landslide
View Full Story
✐
Add Your Social Story
*Search & Select your Keyword: ‘Social Story’ at Category/Tag box to Make New Post .
*please type in small letters(e.g my social story) at Category/Tag box for searching.
